গত বারের মতো এবারও থার্টিফার্স্ট নাইটে থাকছে কঠোর বিধিনিষেধ। বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় এ কথা জানানো হয়।

সভায় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে ইংরেজি নববর্ষ থার্টিফাস্ট নাইট পালনে নিষেধাজ্ঞা আছে। এবার কোনো উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোনো সমাবেশ, গান-বাজনা করা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকেই নগরীর সব ধরনের বার বন্ধ থাকবে। নিষিদ্ধ থাকবে যেকোনো ধরনের ডিজে পার্টি।’ এ দুটি উৎসবকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন,‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো রয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাবির স্টিকার থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে আগের মতো শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলী ও আমতলী ক্রসিং দিয়ে যেতে হবে। বের হতে যেকোনো পথ ব্যবহার করা যাবে।’

ডিএমপির অপারেশন্স বিভাগ আয়োজিত সমন্বয় সভায় আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বড়দিনের অনুষ্ঠান নিরাপদে সুন্দরভাবে করতে রাষ্ট্র সব ধরনের নিরাপত্তা দেবে। সরকারি নীতি অনুযায়ী সব ধর্মাবলম্বীকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। প্রত্যেক চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে থাকবে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য। কোন ধরনের ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ ও ব্যাগপ্যাক নিয়ে চার্চে আসা যাবে না। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার থাকতে দেওয়া হবে না। প্রতিটি চার্চেই আর্চওয়ে থাকবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে সবাইকে।’ অনুষ্ঠানস্থলে অপরিচিত ও সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তি দেখলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।

পুলিশ সদস্যদের অধিকতর সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমাদের অনেক সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যাতে করে কোনো কুচক্রী মহল কোনা ধরনের সুযোগ নিতে না পারে।’ যার যার অবস্থান থেকে সজাগ দৃষ্টি রেখে দায়িত্ব পালন করতে সকলের প্রতি অনুরোধ রাখেন ডিএমপি কমিশনার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here