মেগা সড়কের প্রথম ধাপের ৫৫ ভাগ কাজ শেষ

0
481

বাংলা খবর ডেস্ক: রাজধানীর যানজট নিরসনে মেগা সড়ক প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এই সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। ৩ ধাপে হচ্ছে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ দশমিক ১৮ কোটি টাকা।

মন্ত্রণালয় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, উন্নত জনসেবায় ঢাকার বুকে গড়ে তোলা হচ্ছে মেগা সড়ক প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। নকশা ও ভূমি জরিপ শেষে বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর। এরপর ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ থেকে শুরু করে সার্বিক প্রস্তুতি শেষে মূল সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হতে সময় লাগে প্রায় ৫ বছর। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল। রাস্তা তৈরিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বাবদ উত্তরা ৩য় ফেজ সংলগ্ন বাউনিয়া, বড় কাকড় এবং দ্বিগুণ মৌজায় করে দেয়া হচ্ছে বহুতল ভবন।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এগিয়ে চলছে এ সড়ক নির্মাণ কাজ। সড়কটি ভূমি থেকে উড়াল দিয়ে শুরু হয়ে কোথাও ভূমিতে নেমে কুতুবখালীর গন্তব্যে মিশবে। এ সড়কে চলার বা ওঠার জন্য প্রায় প্রতিটি এলাকায় থাকছে মূল সড়কের সঙ্গে সংযোগ সড়ক।

প্রকল্পটির পরিচালক এ এইচ এম এস আক্তার বলেন, রাজধানীর উন্নয়নে যুগান্তকারী প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘ এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তিনটি ধাপে এর কাজ চলছে। প্রথম ধাপ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত। ২য় ধাপ বনানী রেল স্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত। ৩য় ধাপ মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত।

প্রথম ধাপে সড়কের ৫৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২য় ও ৩য় ধাপের ইউটিলিটি অপসারণ ও প্রতিস্থাপন কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরেই ২য় ধাপের নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরু হবে। আর ২০২১ সালের অক্টোবরে ৩য় ধাপের নির্মাণ কাজও একযোগে চলবে।
এ পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের ১ হাজার ৩৩৩টি পাইল, ৩২৩টি পাইল ক্যাপ, ১০৯টি ক্রস বিম, ৩৫০টি কলাম, ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ৩৫০টি স্প্যান আই গার্ডার স্থাপন করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here