ওরা টাকা দিয়ে জামাই কেনে !

0
439

(উপরের ছবিতে লেবাননের একদল তরুনীকে দেখা যাচ্ছ)

দীপক আচার্য:

ওরা টাকা দিয়ে জামাই কেনে! মাসে হাজার টাকা মোবাইল বিল
দেয়। থাকা-খাওয়ারও ব্যবস্থা করে। ওরা বাংলাদেশী নারী। লেবাননে থাকে। অনেক টাকা উপার্জনের জন্য তারা লেবাননে গেছেন। ’হাইজ মেইড’ মানে বাসায় কাজের লোক হিসেবে কাজ করবেন ওখানে। বিদেশের টাকায় পরিবারের স্বচ্ছতা
ফিরিয়ে আনবেন, এটাই মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু, অধিকাংশেরই তা হয়না।
লেবাননে যাওয়ার আগে দালালরা তাদের লোভ দেখিয়ে বলে থাকে, মাসে ২০,০০০ টাকা কামাই হবে। বিদেশ যেতে খরচ পরবে মাত্র ৫০,০০০ টাকা, কখনও বলা হয়
২০,০০০ টাকা, আবার কখনও বলা হয় লেবাননে যেয়ে কামাই করে টাকা (৫০,০০০ টাকা) দিয়েন। থাকা-খাওয়া ফ্রি। এর মানে পুরো ২০,০০০ টাকাই প্রতিমাসে দেশে পাঠানো যাবে। যেসব সাধারণ নারী দেশে পরিবারের সাথে রোজগার করতে
পারেন না, তারা যদি বিদেশ গিয়ে তিন বছর থেকে আসেন তাহলে তো ’বড় লোক’হওয়া যাবে। যাদের শরীরে শক্তি-সামর্থ আছেন, দেখতে সুন্দরী, মূলত: তাদেরকেই দালালরা এমন লোভনীয় প্রস্তাব দেয় এবং বিদেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ’হাইজ মেইড’ হিসেবে পাঠাতে চায়। জানা গেছে, ২৫থেকে ৩৫ বছর বয়সী বাংলাদেশী নারীদের ’হাইজ মেইড’ হিসেবে ওসব দেশে কদর রয়েছে। এ তথ্যটা জানা দরকার। বিএনবি সমর্থিত চারদলীয় জোটের সরকারের
সময় মেজর (অবঃ) কামরুল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী নারীদের বিশেষ করে ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নারী আনসার সদস্যদের পাঠানোর মাধ্যমে বিদেশে
বাংলাদেশী নারীদের কারও মতে ’সর্বনাশা’ পথে পা বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়া হয়। যখন তিনি এ উদ্দ্যোগ নেন তখন আমি বেশ কিছু প্রতিবেদন করেছিলাম,কিন্তু একবারে তা থামানো যায়নি। কারন, এদেশের মানুষ লোভে পা দিতে পছন্দ
করে। তবে যাই হোক, মজর (অবঃ) কামরুল ইসলামের এ ধারা ’দালালরা’ অব্যাহত রেখেছে। হ্যাঁ, যা বলছিলাম, লেবাননে গিয়ে বাঙ্গালী নারীরা প্রথমে দালালের খপ্পরে পড়ে প্রথমে ’দাশখত’ দিতে হয় তারা (দালাল) যা বলবে তাই করবে, তা না হলে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা হলে তারা দেখবে না। এমন বিপদের কথা বলে দালালরা আকামা মানে চাকরির পারমিট বের করে কোন বাসায় হাউজ মেইড হিসেবে গছিয়ে দেয়। বেতন হয় ১৫০ থেকে ২০০ মার্কিন ডলার, সাথে থাকা-খাওয়া ফ্রি। মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ লেবানন যেখানে শ্রমিক’র বেতন
দেয়া হয় মার্কিন ডলার দিয়ে। লেবাননের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান হলেও তাদের চাল-চলন কিন্তু ইউরোপিয়ানদের মতো। এদেশের মানুষ বিশেষ করে নারীরা ইউরোপিয়ানদের মতো পোষাক পড়া, দামী গাড়ী চালানো, মেকআপ করা ও
বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঘুরে বেড়ানো ও নাইটক্লাবে যেতে পছন্দ করে। এদেশের মেয়েদের কাছে মেকআপকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য বিউটিশিয়ানরা ’মেকাআপ ইজ এ সাইন্স’ বলে থাকে- তাই এমন সাইনবোর্ডও দেখা মেলে। মাত্র
১০,৪৫২ বর্গকিলোমিটারের ছোট দেশটি যেটি ভূমধ্য সাগরের তীরে অবস্থিত।
দেশটি যেমন পৃথিবীর সুন্দর দেশের একটি তেমনি এখানকার মানুষও সুন্দর। মেয়েরা এখানে স্বাধীন, তাদেরকে এখানকার লোকজন সম্মান করে। তাই, মেয়েরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। তাই দেখে বাংলাদেশের নারীরা যারা স্বামী ও
সন্তান দেশে রেখে সেখানে কাজ করতে গেছেন তারাও অনেকটা স্বাধীনভাবে থাকার চেষ্টা করেন। কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশের নারীরা যারা বাসায় কাজ করতে
যায় তাদের একটা বড় অংশ দু’তিন মাস কাজ করার পর কাজ ছেড়ে দেয়। প্রথম অভিযোগ তাদেরকে খেতে দেয়া হয় না। এর মানে, বাঙ্গালী তো ভাত খেয়ে অভ্যস্ত, তো ওখানে ভাত খেতে না পেয়ে তারা এসব কথাই বলে। কোনভাবে তিন মাস
কাজ করার পর তারা যখন দালালের সাথে দেখা করে তখন দালালরা খারাপ বুদ্ধি দেয়, বলে আকামার সমস্যা হবে না। বাইরে কাজ করলে ভাতও খাওয়া যাবে, টাকাও
বেশি রোজগার করা যাবে। দালালদের এমন খারাপ বুদ্ধি যারাই শুনেছেন তারাই বিপদে পড়েছেন এবং খারাপ পথে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে বাসার চাকরি ছেড়ে দিয়ে যখন দালালদের সাথে চলে আসেন তখন দালালরা এসব নারীদের দু’তিন
মাস বিশেষ ব্যবস্থায় বাসায় রেখে পরবর্তীতে ওসব নারীদের যেভাবেই হোক টাকা কামানোর জন্য বাধ্য করতে থাকে। উপায়ন্তর না দেখে অনেকে অনৈতিক কাজ করে টাকা রোজগার করতে নেমে পড়ে। অবশ্য, এসব কাজে প্রথম প্রথম ভাল টাকা উপার্জন করা যায়। যখন এসব নারীরা বেশি টাকা উপার্জন করতে থাকেন, তখন তাদের অনেকেই নিজেকে লেবাননিদের মতো নিজেদের মনে করতে থাকে এবং তারা ’লিভ টুগেদার’ করার চেষ্টা করে এবং তারা ’লিভ টুগেদার’ করে। বাঙ্গালী নারীদের প্রথম পছন্দ বাংলাদেশী, তার পর এ লিভ টুগেদারের তালিকায় সিরিয়ান ও ফিলিস্তিনি পুরুষ রয়েছে। যদিও এদেশে ’লিভ টুগেদার’ কেউ খারাপভাবে নেয় না। ভাবে একা একা থাকার চেয়ে দু’জন একসাথে থাকলে বিদেশে
ভালই হবে। আর এ থাকা তো আর বাংলাদেশের আত্মীয়রা জানতে পারছে না। জানা গেছে, এখানে প্রায় সবাই ’লিভ টুগেদার’ করে থাকে আর এজন্য কারও কথা কাউকে
বলে না। ’লিভ টুগেদার’ আবার ছাড়া ছাড়িও হয়। যেমন বিয়ের ডিভোর্সের মতো। এসব তথ্য সাংবাদিক বাবু সাহা জানান। তিনি জানান, যেসব নারীরা এখানে দীর্ঘদিন থাকছেন এবং বয়স বেশি হয়ে গেছে তাদের সাথে অনেকে ’লিভ টুগেদার’ করতে চায়না। তখন তারা জামাই কিনে নেয় অর্থাৎ যুবকদের প্রস্তাব
দিয়ে বলে তার সাথে ’লিভ টুগেদার’ করলে তিনি তার থাকা-খাওয়া ফ্রি ও মাসে হাজার টাকা মোবাইল বিল দেবেন। এমন প্রস্তাব পেয়ে অনেকে ’বুড়ির’ সাথে ’লিভ টুগেদার’ করেন। এদেশে বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ফোনে কথা বলেন না।
কারণ, প্রতিমিনিট ফোনকলে প্রায় ৪০ টাকা খরচ হয় এজন্য সবাই হোয়াটসএ্যাপে কথা বলে। লেবাননের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার জানান, লেবাননে ১,৪০,০০০ বাংলাদেশী প্রবাসী আছেন। এরমধ্যে ৮৫,০০০ নারী। অনৈতিক
কাজ করতে যেয়ে যেসব নারীরা বিভিন্ন অসুখে ভোগেন এবং মহাবিপদে পড়েন তখন এদেরকে বিমানের টিকেটের টাকা যোগার করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এখানে
অনেকে আত্মহত্যাও করে থাকেন বিভিন্ন কারণে। নারী ঘটিত বিষয়ই বেশি। বিভিন্ন দুর্ঘটনায়ও বাংলাদেশীরা মারা যাচ্ছেন।এখন লেবানন সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক। লেবাননের পাশেই সাইপ্রাস, সিরিয়া ও ইসরাইল। পশ্চিম এশিয়ার দেশ লেবানিজ পাউন্ড মাথাপিছু আয় ১১,০০০ মার্কিন ডলার। জনসংখ্যা মাত্র ৭ লাখ। লেবানন-এ নামটরি র্অথ সাদা। বরফ ঢাকা পাহাড় থকেইে এ নামরে উদ্ভব বলে ধারণা করা হয়।
লেবানন র্ধম ও গোষ্ঠীগতভাবে বভিক্ত একটি রাষ্ট্র। এখানে খ্রস্টিান, সুন্নী মুসলমান ও শিয়া মুসলমানরো একত্রে বাস করনে। গোষ্ঠীগুলি লবোননের ইতিহাসের
বিভিন্ন সময়ে নজিদেরে মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতার ব্যাপারে চুক্তি করছেনে। চুক্তি অনুযায়ী লেবাননের রাষ্ট্রপতি হবনে একজন ম্যারোনীয় খ্রস্টিান, প্রধানমন্ত্রী হবনে সুন্নী মুসলমান এবং স্পকিার হবনে শিয়া মুসলমান।
সংসদের আসনসমূহরে র্অধকে খ্রস্টিান ও র্অধকে মুসলমানদরে জন্য সংরক্ষতি।
লেবাননের বশেরি ভাগ রাজনতৈকি দল গোষ্ঠী বা গোত্রভত্তিকি।
আরবি ভাষা লবোননরে সরকারি ভাষা। দশেটরি ৯০%-এরও বেশি লোক আরবি ভাষাতে কথা বলে। এছাড়াও লবোননে র্আমনেীয় ভাষা, কুর্দি ও আরামীয় ভাষা প্রচলতি। আর্ন্তজাতকি যোগাযোগরে জন্য ফরাসি ভাষা ব্যবহার করা হয়।
লবোননরে গৃহযুদ্ধ (১৯৭৫-১৯৯০) একটি বহুঘটনাবহুল গৃহযুদ্ধ ছিল এবং এতে আনুমানকি ২,৫০,০০০ জনরে মৃত্যু হয় । গৃহযুদ্ধরে আগ র্পযন্ত দেশটিতে বিরাজ করছলি শান্তি ও সমৃদ্ধশীল অবস্থা। র্পযটন, কৃষি, ব্যাংক ইত্যাদি
নিয়ে বেশ ভালো সময়ই কাটায় লবোনন। বলা হতো সুইজারল্যান্ডরে মতোই র্পূণ বিকাশ ঘটছেলি লবোনন।
গৃহযুদ্ধরে পর আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে র্অথনীতসিহ সার্বিক পরস্থিতি ।২০০৬ সালরে জুলাইয়রে আগ র্পযন্ত লবোননে ফিরে আসে পুরো স্থিতিশীল অবস্থা। লাখো র্পযটক আবারো বিমোহিত হতে শুরুকরে লেবাননের
সৌর্ন্দয।এমন সময় ইসরাইল লবোননে হামলা চালালে হজিবুল্লাহর সাথে যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে লবোনন বা হজিবুল্লাহ হারেনি সত্য , কিন্তু লেবাননের
র্অথনীতি পিছিয়ে যায় অনকেখানি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here